সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি, এটা স্বীকৃত : হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, মার্চ ১৩, ২০২৪

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি, এটা স্বীকৃত : হাইকোর্ট
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি, এটা স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে করে হাইকোর্ট বলেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এটা প্রমাণিত যে সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদী পেলেন, কীভাবে তার কাছে হস্তান্তর হলো, এটা আমাদের দেখাতে হবে।

এর আগে গতকাল রায় ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সময় আবেদন করলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে বুধবার রায়ের নতুন তারিখ রাখে।

তারও আগে গত ১০ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল।

গত ৩ মার্চ বাফুফে সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি শেষ হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, রাজউকের ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন।

এ সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কিভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো?

গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।


তারও আগে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
0 Comments